
সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেন (২৮) নিহতের ঘটনায় বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো, এনায়েতপুরের ৪নং ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জামাল মীর (৫৫) ও এনায়েতপুর থানা যুবদলের আহবায়ক জহুরুল ইসলাম (৪৭)।
এনায়েতপুর থানার ওসি রওশন ইয়াজদানি বলেন, মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে এনায়েতপুর মেডিক্যাল কলেজ এলাকা থেকে বিএনপি নেতা জামাল মীরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে র্যাব-২ এর সদস্যরা ঢাকা থেকে যুবদল নেতা জহুরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে তাকে থানায় হস্তান্তর করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। দুপুর ২টার দিকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৮ মার্চ সাবেক এমপি মেজর (অব:) মঞ্জুর কাদেরের সমর্থকরা চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের সমর্থকরা তাতে বাধা দেন।
এতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে ৭ জন নেতাকর্মী আহত হন। ১৯ মার্চ রাতে ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঞ্জুর কাদেরের সমর্থক সাবেক ছাত্রদল নেতা কবির হোসেনের (২৮) মৃত্যু হয়। সে চাঁদপুর গ্রামের ফজল হকের ছেলে এবং সৌদিয়া চাঁদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হযরত আলী হাফিজ বাদী হয়ে ২৮জনের নাম উল্লেখ ও বিএনপি একাংশের ৮০-৯০জন অজ্ঞাতনামা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
এ ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরই এনায়েতপুর থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির জনি সাইদুল ও একই কমিটির সাবেক সদস্য সচিব মঞ্জু শিকদারের দলে থাকা সকল পদ স্থগিত করেছে জেলা বিএনপি।