
সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা না থাকায় এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে কলেজের হাসপাতাল চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সকালে কলেজ ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা “ওয়ার্ড ক্লাসে অবহেলা মানি না, মানবো না”, “ওয়ার্ড ছাড়া মেডিকেল চলবে না”, “অজুহাতের সুযোগ নাই, অবকাঠামোগত উন্নতি চাই”, “সিএ নাই, রেজিস্টার নাই, ওয়ার্ড চালাবে কারা ভাই” — এ ধরনের বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার হাতে বিক্ষোভ করেন।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন প্রিয়াস চন্দ্র দাস, মো. ইব্রাহীম, পৃথ্বীরাজ চৌধুরী, তাহরিম আক্তার, সায়মা আক্তার রিমা, সানজিয়া তাবাসসুম মাইসা প্রমুখ। কর্মসূচিতে কলেজের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনের সময় সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মোস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করলেও তারা আন্দোলন চালিয়ে যান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “একটি মেডিকেল কলেজের হৃদপিণ্ড হলো হাসপাতাল। হাসপাতাল চালু না থাকলে ওয়ার্ড ক্লাস, আউটডোর, প্র্যাকটিক্যাল ও সার্জারির কাজ শেখা সম্ভব নয়। আমরা সদর হাসপাতালে যেতে পারছি না, কারণ আমাদের জন্য নেই ট্রান্সপোর্ট সুবিধা এবং সেখানেও পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা নেই।”
তারা আরও জানান, চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে হাসপাতাল চালু এবং ওয়ার্ড কার্যক্রম সপ্তাহে ছয়দিন চালুর দাবি জানানো হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে আউটডোর চালুর প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা স্পষ্ট সময়সীমা ও লিখিত আশ্বাস ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার করবেন না।
শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, “যদি প্রয়োজনীয় সুবিধা দিতে না পারে, তাহলে কেন মেডিকেল কলেজ চালু করা হলো? বরং এটি বন্ধ করে দেওয়া হোক। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আমাদের দুই দফা দাবি মানতেই হবে, নইলে আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
তারা স্পষ্ট করে বলেন, “মেডিকেল ও ওয়ার্ড ক্লাস ছাড়া একজন ডাক্তার হলেও তার কোনো মূল্য থাকবে না। আমাদের শিক্ষা জীবনের ক্ষতির দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।