
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে গুলির ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী শামীম হোসেন মন্ডল (৩৬)। তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর সময় স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে রুবেল হোসেন (৩৪) নামে এক ভাড়াটে খুনিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি পৌর শহরের সুপার মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, আটককৃত রুবেল ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার কুষ্টপুর গ্রামের শাহাদত মোল্লার ছেলে। তার কাছ থেকে একটি ইউএসএ লেখা পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি এবং একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় শামীম হোসেন মন্ডল সুপার মার্কেটের সামনে বসে ছিলেন। হঠাৎ দুটি মোটরসাইকেলে করে ছয়জন হেলমেট পরা ভাড়াটে কিলার এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে, তবে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। শামীমের চিৎকারে স্থানীয়রা দ্রুত ছুটে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া করে। একপর্যায়ে রুবেলকে পিস্তলসহ ধরে ফেলেন তারা, বাকিরা পালিয়ে যায়।
আটক রুবেলকে স্থানীয়রা মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে পাঁচবিবি মহিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সে পুলিশের নজরদারিতে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে শামীম হোসেন মন্ডল বলেন, “আমি এবারের পাঁচবিবি পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছি। এ কারণে প্রতিপক্ষরা শত্রুতাবশত এই হামলার পরিকল্পনা করে থাকতে পারে। ফরিদপুরের এক পরাজিত মেয়র প্রার্থীর স্বামীর বাড়ি এবং আটক রুবেলের বাড়িও ফরিদপুরে—এই সূত্র ধরে বলা যায়, একটি কুচক্রী মহল এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে। আমি প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মইনুল হক বলেন, “ঘটনার পরপরই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি এবং মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।