০৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বরেন্দ্র অঞ্চলে ছাগল পালন করে সাবলম্বী 

ছবি: দৈনিক জনতারকথা

রাজশাহী  প্রতিনিধি
বরেন্দ্র অঞ্চলের ছাগলপালন করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে ন।
রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে প্রান্তিক পরিবারগুলোতে ছাগল পালন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষ বিভিন্ন জাতের ছাগল মোটাতাজা করে তাদের জীবিকা উন্নত করেছে।
বরেন্দ্র অঞ্চল ও জেলা জুড়ে ছাগল পালন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরু ও ভেড়া মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবার আয়ের টেকসই উৎস হিসেবে ছাগল পালনের দিকে ঝুঁকছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুসারে, জেলায় ছাগল মোটাতাজাকরণ খামারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ বছর মোট ছাগলের সংখ্যা ৫.২৬ লক্ষে পৌঁছেছে- যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ বেশি।
বিভিন্ন জাতের ছাগল পালন- বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল কেবল গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই নয়, প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জালাল সরদার বলেন, অনেক তৃণমূল পরিবার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল পালন করছে। তারা তাদের উদ্যোগে বেশ সফল এবং প্রতি বছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল শীর্ষ পাঁচটি মাংস উৎপাদনকারী জাতের মধ্যে একটি। এর উচ্চ প্রজনন হার, সুস্বাদু মাংস ও চামড়া আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি আরও বলেন, এটি দারিদ্র্য বিমোচনের একটি কার্যকর হাতিয়ার।
 গ্রামবাসীরা এখন খড়, গুড়, তেলের খোসা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গমের ভুসির মতো প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করে ছাগল মোটাতাজা করছে। তারা এখন আর ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করে না। তিনি এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি সম্প্রসারণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার, উন্নত প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও আরও প্রদর্শনী খামার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনের ওপর দক্ষ জনবল ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সরকারি চাকরি না পেয়ে, বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের স্নাতক পাশ দম্পতি সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রিমা খাতুন প্রায় সাত বছর আগে তাদের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন।
তারা এখন তাদের বাড়ির পাশে একটি ছাগল মোটাতাজাকরণ খামার পরিচালনা করছেন।
সোহেল বাসসকে বলেন, ‘এই বছর আমরা প্রায় ২ লাখ টাকায় ৪০টি ছাগল কিনেছি। আমরা ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আটটি ছাগল বিক্রি করেছি ও বাকি ছাগল থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’
এভাবেই চলছে সফলতার গল্প। অনেকে ছাগল পালন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।

জগতি চিনিকলের অপমৃত্যু — আমাদের শিকড়ে কোপ:

রাজশাহীতে হাতকরা পরা অবস্থায় আসামী পলায়ন

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাসায় গুলি

চুয়াডাঙ্গায় ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

নাটোরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশু জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

শার্শায় ধানক্ষেত থেকে দুটি পাইপগান উদ্ধার

বৈশাখের সন্ধ্যায় মিনিবাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশু নিহত, বাসে আগুন

নিজেকে ছাত্রলীগ দাবির ৪ বছর পর হয়ে গেলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ওয়ার্ড সুবিধার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্লট দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা, ববির সঙ্গে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে গ্রেপ্তারেও পরোয়ানা

মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনস্রোত

এশিয়ার ৩ দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা: ফারুকী

সিলেটে ‘গাড়ি পার্কিং’ নিয়ে সংঘর্ষ, ৩১ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

কুষ্টিয়ার আমলায় জুমার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে দোয়া ও প্রতিবাদ মিছিল

সম্পাদকীয়

চলতি বছর বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এনডিবি

ইহুদিবাদ এবং গাজার ভবিষ্যৎ: সংঘাতের বৃত্ত থেকে মুক্তির খোঁজে

সারা দেশে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহী নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির রেফেল ড্র অনুষ্ঠিত

বরেন্দ্র অঞ্চলে ছাগল পালন করে সাবলম্বী 

প্রকাশের সময় : ০৬:২০:৪২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
রাজশাহী  প্রতিনিধি
বরেন্দ্র অঞ্চলের ছাগলপালন করে অনেকে সাবলম্বী হয়েছে ন।
রাজশাহীর গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে, বিশেষ করে প্রান্তিক পরিবারগুলোতে ছাগল পালন উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে। এ অঞ্চলের বহু মানুষ বিভিন্ন জাতের ছাগল মোটাতাজা করে তাদের জীবিকা উন্নত করেছে।
বরেন্দ্র অঞ্চল ও জেলা জুড়ে ছাগল পালন অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। গরু ও ভেড়া মোটাতাজাকরণের পাশাপাশি অনেক সুবিধাবঞ্চিত পরিবার আয়ের টেকসই উৎস হিসেবে ছাগল পালনের দিকে ঝুঁকছে।
জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের তথ্য অনুসারে, জেলায় ছাগল মোটাতাজাকরণ খামারের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ বছর মোট ছাগলের সংখ্যা ৫.২৬ লক্ষে পৌঁছেছে- যা গত বছরের তুলনায় এক লাখ বেশি।
বিভিন্ন জাতের ছাগল পালন- বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল কেবল গ্রামীণ সম্প্রদায়ের মধ্যেই অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতাই নয়, প্রোটিনের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণেও অবদান রাখছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুচিকিৎসা ও প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জালাল সরদার বলেন, অনেক তৃণমূল পরিবার ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিতে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির ছাগল, বিশেষ করে ব্ল্যাক বেঙ্গল পালন করছে। তারা তাদের উদ্যোগে বেশ সফল এবং প্রতি বছর বিপুল মুনাফা অর্জন করছে।
ব্ল্যাক বেঙ্গল শীর্ষ পাঁচটি মাংস উৎপাদনকারী জাতের মধ্যে একটি। এর উচ্চ প্রজনন হার, সুস্বাদু মাংস ও চামড়া আন্তর্জাতিক মানের।
তিনি আরও বলেন, এটি দারিদ্র্য বিমোচনের একটি কার্যকর হাতিয়ার।
 গ্রামবাসীরা এখন খড়, গুড়, তেলের খোসা, ছোলা, সবুজ ঘাস ও গমের ভুসির মতো প্রাকৃতিক খাদ্য ব্যবহার করে ছাগল মোটাতাজা করছে। তারা এখন আর ক্ষতিকারক স্টেরয়েড ট্যাবলেট বা ইনজেকশন ব্যবহার করে না। তিনি এই সম্ভাবনাময় ক্ষেত্রটি সম্প্রসারণে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যাপক প্রচার, উন্নত প্রজনন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ ও আরও প্রদর্শনী খামার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ছাগল পালনের ওপর দক্ষ জনবল ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
সরকারি চাকরি না পেয়ে, বাগমারা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের স্নাতক পাশ দম্পতি সোহেল রানা ও তার স্ত্রী রিমা খাতুন প্রায় সাত বছর আগে তাদের বাড়িতে ছাগল পালন শুরু করেন।
তারা এখন তাদের বাড়ির পাশে একটি ছাগল মোটাতাজাকরণ খামার পরিচালনা করছেন।
সোহেল বাসসকে বলেন, ‘এই বছর আমরা প্রায় ২ লাখ টাকায় ৪০টি ছাগল কিনেছি। আমরা ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৮০ হাজার টাকায় আটটি ছাগল বিক্রি করেছি ও বাকি ছাগল থেকে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা লাভ হবে বলে আশা করছি।’
এভাবেই চলছে সফলতার গল্প। অনেকে ছাগল পালন করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন।