
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি।
‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে যোগ না দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল-ইপিজেডের ভেতরে দু’টি পোশাক কারখানা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এই ঘটনায় অন্তত ৪৫ জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
শনিবার বিকাল ৫টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জের শিল্প পুলিশের পরিদর্শক সেলিম বাদশা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, কয়েকশ লোক সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের সামনে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলা ও গণহত্যার প্রতিবাদে মিছিল করছিলেন। মিছিলটি এক পর্যায়ে ইপিজেডের ভেতরে ঢুকে পড়ে এবং কারখানার শ্রমিকদের মিছিলে যোগ দেওয়ার অনুরোধ জানান মিছিলকারীরা। কিন্তু কারখানার উৎপাদন বন্ধ রেখে শ্রমিকরা মিছিলে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভাঙচুর শুরু করেন তারা।
পুলিশ পরিদর্শক সেলিম বাদশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ইপিজেডের ভেতরে ইউনেস্কো বিডি লিমিটেড ও অনন্ত হুয়াশিং লিমিটেড নামে দুটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানায় তারা ভাঙচুর চালান। এ সময় লুটপাট অভিযোগও পাওয়া গেছে। আশেপাশের কয়েকটি গাড়িও ভাঙচুর করেন।

“অন্তত ৩০ মিনিট তারা ভাঙচুর চালান। পরে শিল্প পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। ঘটনাস্থল থেকে ভাঙচুর ও লুটপাটে জড়িত বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে,” যোগ করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
নারায়গঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) তারেক আল মেহেদী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জেলা পুলিশ ঘটনাটি পরে জেনেছে। ইপিজেডে কুইক রেসপন্স করেছে র্যাব ও সেনাবাহিনী। সেনাবাহিনী ৪৫ জনকে আটক করার পরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।”
এই ঘটনার পেছনে ‘অন্য কোনো ষড়যন্ত্র’ কাজ করতে পারে ধারণা এ পুলিশ কর্মকর্তার।
তিনি বলেন, “ফিলিস্তিন ইস্যু তো নিরপেক্ষ ইস্যু। এই মিছিলে তো সব দলের লোকজন থাকেন। কেউ অন্য কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছেন কি না পুলিশ সেটি তদন্ত করবে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”