রাজবাড়ীতে বেড়েছে সব ধরণের সবজির দাম। রমজান মাস জুড়ে সবজির দাম কম থাকলেও ঈদের পর থেকে বেড়েছে এসকল সবজির দাম। রাজবাড়ীর বড় বাজার ঘুরে সবজির এমন বাড়তি দামের চিত্র দেখা গেছে। বাজারে ৬০ টাকার নিচে তেমন কোনো সবজি নেই।বাজারে গিয়ে দেখা যাই, আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, প্রতি কেজি ঝিঙা ৬০ টাকা, সজনে ৮০টাকা, ঢ়্যাড়শ ৫০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা এবং গোল বেগুন ৭০ টাকা, মরিচ ৬০ টাকা, পেঁপে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, শশা হাইব্রিড ৪০ এবং দেশি ৫০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ধুন্দল ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা পিচ, কলা ৩০ টাকা হালি, কুমড়া ২৫ টাকা কেজি, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা, রসুন ১৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৫০ টাকা, আদা ১২০ টাকা, গাজর ৪০ টাকা ও চিচিঙ্গা ৫০টাকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে।
এ সকল সবজি পুরো রমজান মাসে ক্রেতাদের হাতের নাগালেই ছিল। প্রতি সবজির দামই ছিল ৩ থেকে ৫ টাকা কম দামে। তবে পেঁয়াজের দাম কয়েক দিনের তুলনায় বেশ ব্যবধানে বেড়েছে। সবজির দাম বাড়লেও লেবুর দাম কমেছে। লেবু মান ভেদে প্রতি হালি ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আকবর আলী বলেন, সবজির বাজার অনেক বেড়ে গেছে। রমজানে ১৫০ থেকে ২০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগ ভরে যেতো। এখন ২০০ টাকার বাজার করলে ব্যাগের অর্ধেক ভরে। দাম বাড়লে আমাদের মতো সাধারণ মানুষের অনেক কষ্ট হয়। এজন্য দরকার সরকারি মনিটরিং ব্যবস্থা, কি কারণে সবজির দাম বাড়ছে, কারা বাড়াচ্ছে এসব বিষয় তদারকি করা খুব জরুরি।
আলম ফকির বলেন, বাজারে সবজির দাম বাড়তি। বিশেষ করে ঈদের পর থেকে প্রতিদিনই সবজির দাম বেড়েই চলছে। ৬০ টাকার নিচে কোনো সবজি নেই। পেঁয়াজ কিছু দিন আগেও ছিল ৩৫ টাকা কেজি যা এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বেগুনের দাম বেড়েছে।
সবজি দাম বৃদ্ধির কারণ জানিয়ে সবজি বিক্রেতা শহীদ ও ইমন বলেন, বাজারে এখন সবজির সরবরাহ আগের তুলনায় অনেকটা কম। মূলত মৌসুম শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এবং শীতের সবজি শেষ হয়ে যাওয়ার পর বাজারে আস্তে আস্তে সবজির দাম বাড়তে থাকে। নতুন সবজি আসতে শুরু করেছে। কিছু দিনের মধ্যে নতুন সবজির দাম কমে যাবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম যেন স্বাভাবিক থাকে এবং নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আমরা নিয়মিত বিভিন্ন হাট-বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। আর্থিক জরিমানাসহ অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।