
প্রায় ১৫ বছর পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিদের মধ্যে বেঠক হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন ‘পদ্মা’য় আয়োজিত এফওসিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন এবং পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ তাদের নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন।
বৃহস্পতিবার নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিবের সফর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালের কাছে এক সাংবাদিক জানতে চান। তিনি প্রশ্ন করেন, প্রায় ১৫ বছর পর এই বৈঠক হলো। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ এখন বাংলাদেশে। এ ব্যাপারে ভারতের মতামত কী?
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমরা অবগত আছি।’ চলতি মাসেই বাংলাদেশে আসবেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। এ বিষয়টি ভারত কোন চোখে দেখছে জানতে চাইলে মুখপাত্র বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে।’ এর বাইরে তিনি অন্য কোনো মন্তব্য করেননি।
ট্রান্সশিপমেন্ট বন্ধের পর বাংলাদেশ-ভারত অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে এক সাংবাদিক জানতে চাইলে রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ নিয়ে আমরা অনেকবার বলেছি। আগেও বেশ কয়েকবার বলা হয়েছে। এমনকি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বৈঠকের সময়ও ব্যাপারটি স্পষ্ট করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় ভারত। একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের পাশে আমরা সব সময়ই রয়েছি।
এদিন ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহার করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির সুবিধা বন্ধের পেছনে যে প্রতিবেশী দেশের কিছু ঘটনা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জয়সওয়াল। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ওই সিদ্ধান্তের আগের কিছু ঘটনা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। তাহলে ছবিটা পূর্ণ ও স্পষ্ট হবে। কোন ‘ঘটনাবলি’ খতিয়ে দেখা প্রয়োজন সে বিষয়টি মুখপাত্র অবশ্য উহ্য রাখেন।