০৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
এই বৈঠক ছিল গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম এমন উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইল বাংলাদেশ

  • নিউজ ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
  • 6

ছবি: সংগৃহীত

অবিভক্ত পাকিস্তান আমলে জমে থাকা সম্পদ, বৈদেশিক সহায়তা, অব্যবহৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রসহ মোট ৪.৫২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক দাবি পাকিস্তানের কাছে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো ২০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এসব ইস্যু বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম এমন উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন, আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ এবং বকেয়া অর্থ ফেরতের মতো ঐতিহাসিক ও অমীমাংসিত বিষয়গুলো আমরা পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।’

এছাড়া পাকিস্তানে ফেরত যেতে আগ্রহী বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। পররাষ্ট্রসচিব জানান, ‘যারা বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে যারা ফিরে যেতে চান, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পাকিস্তানের। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৪১ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৭ জন অবস্থান করছেন।’

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকায় সরকারি সফরে আসছেন। ২০১২ সালের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান এবং দুই দেশের হাইকমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামাবাদের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই আলোচনা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক জোরদারের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

জগতি চিনিকলের অপমৃত্যু — আমাদের শিকড়ে কোপ:

রাজশাহীতে হাতকরা পরা অবস্থায় আসামী পলায়ন

কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাসায় গুলি

চুয়াডাঙ্গায় ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

নাটোরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশু জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

শার্শায় ধানক্ষেত থেকে দুটি পাইপগান উদ্ধার

বৈশাখের সন্ধ্যায় মিনিবাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশু নিহত, বাসে আগুন

নিজেকে ছাত্রলীগ দাবির ৪ বছর পর হয়ে গেলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ওয়ার্ড সুবিধার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্লট দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা, ববির সঙ্গে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে গ্রেপ্তারেও পরোয়ানা

মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনস্রোত

এশিয়ার ৩ দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা: ফারুকী

সিলেটে ‘গাড়ি পার্কিং’ নিয়ে সংঘর্ষ, ৩১ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

কুষ্টিয়ার আমলায় জুমার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে দোয়া ও প্রতিবাদ মিছিল

সম্পাদকীয়

চলতি বছর বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এনডিবি

ইহুদিবাদ এবং গাজার ভবিষ্যৎ: সংঘাতের বৃত্ত থেকে মুক্তির খোঁজে

সারা দেশে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেপ্তার

বিমানবন্দর থানা পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এই বৈঠক ছিল গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম এমন উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

পাকিস্তানের কাছে ৪৩২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ চাইল বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০৬:৫০:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

অবিভক্ত পাকিস্তান আমলে জমে থাকা সম্পদ, বৈদেশিক সহায়তা, অব্যবহৃত প্রভিডেন্ট ফান্ড ও সঞ্চয়পত্রসহ মোট ৪.৫২ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক দাবি পাকিস্তানের কাছে উত্থাপন করেছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড়ের পর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাঠানো ২০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত এসব ইস্যু বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফরেন অফিস কনসালটেশন (এফওসি) বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। ঢাকার স্টেট গেস্ট হাউস পদ্মায় অনুষ্ঠিত এই বৈঠক ছিল গত ১৫ বছরে দুই দেশের মধ্যে প্রথম এমন উচ্চপর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক।

বাংলাদেশের পক্ষে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন, আর পাকিস্তানের পক্ষে নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব আমনা বালুচ। বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রসচিব জসীম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি বাহিনীর নৃশংসতার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ এবং বকেয়া অর্থ ফেরতের মতো ঐতিহাসিক ও অমীমাংসিত বিষয়গুলো আমরা পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছি।’

এছাড়া পাকিস্তানে ফেরত যেতে আগ্রহী বাংলাদেশে অবস্থানরত পাকিস্তানি নাগরিকদের ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও আলোচনায় গুরুত্ব পায়। পররাষ্ট্রসচিব জানান, ‘যারা বাংলাদেশে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে যারা ফিরে যেতে চান, তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পাকিস্তানের। এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৯৪১ জনকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৪টি জেলার ৭৯টি ক্যাম্পে প্রায় ৩ লাখ ২৪ হাজার ১৪৭ জন অবস্থান করছেন।’

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের ডেপুটি প্রাইম মিনিস্টার ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক ডার আগামী ২৭ ও ২৮ এপ্রিল ঢাকায় সরকারি সফরে আসছেন। ২০১২ সালের পর এই প্রথম কোনো পাকিস্তানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

সফরকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রসচিব আলাদাভাবে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান এবং দুই দেশের হাইকমিশনাররাও উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামাবাদের উদ্যোগে শুরু হওয়া এই আলোচনা পাকিস্তানের পক্ষ থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক জোরদারের বৃহত্তর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।