আক্তারুল ইসলাম।
কুষ্টিয়া, ১৬ এপ্রিল ২০২৫:
দেশের অন্যতম প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী চিনিকল কুষ্টিয়া সুগার মিল আবারো আগের রূপে ফিরিয়ে আনার জোরালো দাবি জানিয়েছে কুষ্টিয়াবাসী। এক সময়ের কর্মচাঞ্চল্যে ভরপুর এই মিলটি আজ প্রায় অচল অবস্থায় পড়ে রয়েছে, যা কেবল স্থানীয় অর্থনীতিই নয়, হাজারো শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারের জীবিকাকেও হুমকির মুখে ফেলেছে।
১৯৬১ সালে স্থাপিত কুষ্টিয়া সুগার মিল কেবল চিনিই উৎপাদন করতো না, এটি ছিল কুষ্টিয়ার অর্থনীতির একটি চালিকাশক্তি। কৃষকদের আখ বিক্রির প্রধান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই মিল হাজার হাজার শ্রমিক ও কর্মচারীর কর্মসংস্থানের অন্যতম স্থান ছিল। কিন্তু গত কয়েক বছরে নানা আর্থিক সংকট ও ব্যবস্থাপনার দুর্বলতার কারণে মিলটি কার্যত অচল হয়ে পড়ে।
স্থানীয় একাধিক সংগঠন ও সচেতন নাগরিক একাধিকবার মানববন্ধনের মাধ্যমে মিল পুনরায় চালুর দাবি জানালেও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি । তাঁরা বলেন, “কুষ্টিয়া সুগার মিল শুধু একটি মিল নয়, এটি কুষ্টিয়ার আত্মা। এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত, সামাজিকভাবেও ভেঙে পড়েছি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, মিলটি আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুনরায় চালু করা সম্ভব। তারা বলেন, আখ চাষে উৎসাহ প্রদান, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে মিলের উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যেতে পারে। এতে করে কুষ্টিয়ার কৃষি ও শিল্প খাত উভয়ই উপকৃত হবে।
কুষ্টিয়াবাসী আশা করছে, সরকার দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে এবং কুষ্টিয়া সুগার মিল আবারো কর্মচাঞ্চল্যে ভরে উঠবে—যেখানে কৃষক হাসবে, শ্রমিকের পরিবার ফিরে পাবে স্বস্তির নিঃশ্বাস।