০৩:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সামিট এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা;

  • সম্পাদকীয়
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
  • 9

সম্পাদকীয়

বাংলাদেশ আজ আর উন্নয়নশীল দেশের পরিচয়েই সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উদীয়মান ব্যবসায়-বান্ধব পরিবেশ। এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সামিটগুলো শুধু আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

বিনিয়োগ সামিটের তাৎপর্য:

বাংলাদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সামিটগুলোতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা। এসব সামিটের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, তৈরি পোশাক, নবায়নযোগ্য শক্তি, ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নানা ধরনের কর সুবিধা, এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (EPZ), এবং সহজলভ্যতা সুবিধা—যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

উন্নয়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ:

বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম বাজার, এবং ক্রমবর্ধমান নগরায়ন উন্নয়নের বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের আওতায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন যেমন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে, তেমনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্যও নতুন দরজা খুলছে।

তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। রাজনৈতিক জটিলতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে সীমাবদ্ধতা, এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এখনো বড় প্রতিবন্ধকতা। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নীতিমালার ধারাবাহিকতার অভাব অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দ্বিধাগ্রস্ত করে তোলে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়:

বিনিয়োগ সামিটের সফলতা নিশ্চিত করতে হলে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃঢ়তা দেখাতে হবে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং নীতিমালার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী করতে হবে।

উপসংহার:

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সামিটের মাধ্যমে যে উন্নয়নের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই নয়, বিশ্ববাজারেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এখন প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের দৃঢ় ভিত্তি।

চুয়াডাঙ্গায় ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি আটক

নাটোরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে শিশু জুঁইয়ের মরদেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ

শার্শায় ধানক্ষেত থেকে দুটি পাইপগান উদ্ধার

বৈশাখের সন্ধ্যায় মিনিবাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে শিশু নিহত, বাসে আগুন

নিজেকে ছাত্রলীগ দাবির ৪ বছর পর হয়ে গেলেন ছাত্রদলের আহ্বায়ক

সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ওয়ার্ড সুবিধার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

প্লট দুর্নীতি: হাসিনা, রেহানা, ববির সঙ্গে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপকে গ্রেপ্তারেও পরোয়ানা

মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনস্রোত

এশিয়ার ৩ দেশ সফর করবেন শি জিনপিং

নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধ, ভারতীয় সেনা কর্মকর্তাসহ নিহত ৩

চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা: ফারুকী

সিলেটে ‘গাড়ি পার্কিং’ নিয়ে সংঘর্ষ, ৩১ মোটরসাইকেল ভাঙচুর

কুষ্টিয়ার আমলায় জুমার নামাজ শেষে ফিলিস্তিনের পক্ষে দোয়া ও প্রতিবাদ মিছিল

সম্পাদকীয়

চলতি বছর বাংলাদেশকে এক বিলিয়ন ডলারের ঋণ দেবে এনডিবি

ইহুদিবাদ এবং গাজার ভবিষ্যৎ: সংঘাতের বৃত্ত থেকে মুক্তির খোঁজে

সারা দেশে দোকানপাট-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় ৪৯ জন গ্রেপ্তার

চেকপোস্ট ব্যারাক থেকে পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সামিট এবং উন্নয়নের সম্ভাবনা;

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫

বাংলাদেশ আজ আর উন্নয়নশীল দেশের পরিচয়েই সীমাবদ্ধ নয়; এটি এখন একটি উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উদীয়মান ব্যবসায়-বান্ধব পরিবেশ। এই প্রেক্ষাপটে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সামিটগুলো শুধু আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতেই নয়, বরং দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভাবনাকে বাস্তব রূপ দিতে এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে।

বিনিয়োগ সামিটের তাৎপর্য:

বাংলাদেশে আয়োজিত আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সামিটগুলোতে অংশগ্রহণ করেন বিশ্বখ্যাত ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারকরা। এসব সামিটের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামো, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি, তৈরি পোশাক, নবায়নযোগ্য শক্তি, ও স্বাস্থ্য খাতসহ বিভিন্ন সেক্টরের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয় নানা ধরনের কর সুবিধা, এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন (EPZ), এবং সহজলভ্যতা সুবিধা—যা বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

উন্নয়নের সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ:

বাংলাদেশের ১৮ কোটি জনগণের বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, প্রতিযোগিতামূলক শ্রম বাজার, এবং ক্রমবর্ধমান নগরায়ন উন্নয়নের বিশাল সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও ডিজিটাল বাংলাদেশ ভিশনের আওতায় প্রযুক্তিগত উন্নয়নও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করছে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেল, এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপন যেমন বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করছে, তেমনি দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্যও নতুন দরজা খুলছে।

তবে চ্যালেঞ্জও কম নয়। রাজনৈতিক জটিলতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহে সীমাবদ্ধতা, এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এখনো বড় প্রতিবন্ধকতা। এছাড়া রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং নীতিমালার ধারাবাহিকতার অভাব অনেক সময় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দ্বিধাগ্রস্ত করে তোলে।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও করণীয়:

বিনিয়োগ সামিটের সফলতা নিশ্চিত করতে হলে শুধু প্রতিশ্রুতি নয়, বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দৃঢ়তা দেখাতে হবে। বিনিয়োগ প্রক্রিয়া সহজীকরণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, এবং নীতিমালার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে হবে। একইসাথে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাকে আরো যুগোপযোগী করতে হবে।

উপসংহার:

বাংলাদেশে বিনিয়োগ সামিটের মাধ্যমে যে উন্নয়নের সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তা যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়, তাহলে বাংলাদেশ শুধু দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যেই নয়, বিশ্ববাজারেও একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। এখন প্রয়োজন সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা, বাস্তবায়নে রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্বের দৃঢ় ভিত্তি।